নিউজটোনবিডি
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
চীন সফর শেষে দেশে ফিরেই হাসপাতালে গেলেন জাতীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রাক্তন নেতা নুরুল হক নুরকে দেখতে এনসিপি নেতা নাহিদ। এ সময় রাজনৈতিক মহলে এক ভিন্ন ধরনের আলোচনার জন্ম হয়। তবে অনেকেই মনে করছেন, এই সাক্ষাৎ কেবল সৌজন্যমূলক নয়, বরং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সমীকরণেও প্রভাব ফেলতে পারে।
হাসপাতালে গিয়ে নাহিদ নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। তিনি চিকিৎসকদের কাছ থেকেও বিস্তারিত জানতে চান। অতএব, এ ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক একটি বার্তা দিয়েছে বলে বিশ্লেষকদের মন্তব্য।
অন্যদিকে, নুর দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। অবশেষে নাহিদের এই আগমন নুরের সমর্থকদের মনেও স্বস্তি দিয়েছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে মতামত জানাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে ফিরে নাহিদের সরাসরি হাসপাতালে যাওয়া একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। তবে বিরোধীরা একে রাজনৈতিক নাটক বলেও দাবি করছে। তবুও, সমর্থকরা একে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবেই দেখছেন।
অতএব, এ ধরনের সাক্ষাৎ রাজনীতির মাঠে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে রাজনীতিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষও মনে করছে, রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকলেও মানবিক দিকটি গুরুত্ব পাওয়া উচিত।
এছাড়া, নাহিদের চীন সফরের সময়কার অভিজ্ঞতাও আলোচনায় উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী। অবশেষে, এই অভিজ্ঞতা ও নুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ – উভয় বিষয়ই নাহিদের রাজনৈতিক যাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সার্বিকভাবে দেখা যায়, চীন সফর শেষে নুরকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়া একটি মানবিক উদ্যোগ হলেও এর রাজনৈতিক তাৎপর্যও রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ সাক্ষাৎ থেকে কী ধরনের সহযোগিতা গড়ে ওঠে, তা সময়ই বলে দেবে।