সিরাজগঞ্জে নৌকাসংঘর্ষে ২ জন প্রাণ হারালেন, ১০ জন আহত

সিরাজগঞ্জে আগের দিন দুই নৌকার সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ১০ জন আহত—কার কী ঘটেছিল? পরিসংখ্যান, প্রত্যক্ষদর্শী বিবরণ, কারণ ও নেওয়া পদক্ষেপ জানতে পড়ুন।

সিরাজগঞ্জ জেলার উলিপাড়া উপজেলার লাহিড়ি মোহনপুর ইউনিয়নের দহকুলা ব্রিজ সংলগ্ন জায়গায়—যেখানে সম্প্রতি একটি নৌকা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে—সেখানে দুই জন লোক নিহতের ঘটনা জাতীয় মনোযোগ কেড়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ও স্থানীয় সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যাতে বিস্তারিত, সঠিক ও সময়োচিত তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছায়।

২. ঘটনাস্থল ও সময় (প্রায় ৭০-১০০ শব্দ)

• সময়: শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫ এর দুপুরে।

• স্থান: সিরাজগঞ্জ, উলিপাড়া থানার লাহিড়ি মোহনপুর ইউনিয়ন, দহকুলা ব্রিজ এলাকা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশি তথ্যে জানা যায়, ‘মায়ের দোয়া’ নামের একটি প্রচলিত দৌড় প্রতিযোগিতার নৌকা প্রশিক্ষণ শেষে ফিরছিল, যেখানে সে লঞ্চ বা “এসজিডি” ধরণের যান্ত্রিক নৌকার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে পড়ে। সংঘর্ষে উত্তালভাবে নৌকাটি উল্টে যায়। এতে জোরালো আঘাতে অনেক যাত্রী পানিতে পড়ে যান।

• নিহতরা:

  • রোহিচ উদ্দিন (৪৩), পিতা: সহেব আলী, চক্ষার গ্রামের বাসিন্দা।

  • নুরুল ইসলাম (৩৭), পিতা: কোবাদ আলী, একই ইউনিয়নের বড়পাঙ্গাশী গ্রামের বাসিন্দা।

• আহত ও উদ্ধার:

  • প্রায় ১০ জন আহত হন, তাদের উদ্ধার করে উলিপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

  • দুইজন নিখোঁজ ছিলেন; রাতেই তাদের মৃতদেহ থেকে উদ্ধার করা হয়।

উলিপাড়া থানার থানায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এম.ডি. রকিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে দুর্ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন। তিনি জানান, উদ্ধারকারী দল দেরিতে পৌঁছালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত।

• যানবাহনের ভারসাম্যহীনতা ও আশেপাশের জলপ্রবাহ: ঐ এলাকা হঠাৎ করে ধীর গতিতে প্রবাহিত নদী, হঠাৎ মোড়ে যাতায়াতের সময় নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা ছিল।

• প্রশিক্ষণ বা প্রশিক্ষণ শৃঙ্খলার অভাব: রেসিং নৌকায় পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ চলক না থাকলে সংযোগে ভুল হতে পারে।

• নিয়ন্ত্রনের অভাব: নৌপথে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কিংবা নিরাপত্তা নির্দেশনার ঘাটতি।

• বাড়তি ভিড় বা অতিরিক্ত যাত্রী: যদিও মূলত তৈরির সময় দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ্যে আসেনি, অতিরিক্ত যাত্রীদ খুশবস্থা সৃষ্টি করতে পারে।

• রোগ ও অসতর্কতার প্রভাব: হঠাৎ কিছু অসুস্থতা বা বিকার ঘটলে নিয়ন্ত্রণ হারানো সম্ভব।

• স্থানীয় মানুষ, উদ্ধারকারীরা ও পুলিশি টিম উদ্ধার কাজে জরুরি প্রতিক্রিয়া দেখান।

• আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়, কিছু স্থানীয় হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে।

• মৃতদেহ উদ্ধার ও পরিবারকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

• প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে—এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি, আশা করা যাচ্ছে পরবর্তী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হবে।

এই নৌকা সংঘর্ষে নিহত দুজনে যারা আফসোস, তাঁদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার কামনা করে আমরা আবেদন করছি—নিরাপদ পর্যটন ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা যেন আর ঘটে না। স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিযোগীদের সংগঠক এবং সাধারণ মানুষ মিলিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।